ইবি প্রতিনিধি।। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘আইনী দক্ষতা বিকাশ এবং কর্মজীবন আলাপ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘দ্যা নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল’ স্টুডেন্টস’ (নীলস) ইবি চ্যাপ্টারে’র আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে আইন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা।
নীলস ইবি চ্যাপ্টারের সদস্য মুত্তাকিন হোসাইন এবং ইসরাত জাহান শায়লার সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আল-ফিকহ এন্ড লিগাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ারুল ওহাব।
প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিক কোর্টের আইনজীবী ও নীলস ইবি চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা শাহ মঞ্জুরুল হক।
রিসোর্স প্যানেলের সদস্য হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী অধ্যাপক ব্যারিস্টার এহসানুল কবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী অধ্যাপক সায়েদ আহসান খালিদ, অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ-এর প্রভাষক কাজী ওমর ফয়সাল এবং নীলস বাংলাদেশের সভাপতি মোহাম্মদ মামুন।
এছাড়াও নীলস ইবি চ্যাপ্টারের সভাপতি মাসুদুর রহমান, নীলস ইবি চ্যাপ্টারের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা সহ আইন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে ‘২১ শতকের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ বিষয়ক পোস্টার প্রেজেন্টেশন করেন নীলস ইবি চ্যাপ্টারের সদস্যরা। এতে ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার হক শুভ ও আহসানুল কবির যৌথভাবে এবং আল-ফিকহ এন্ড লিগাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের হাসান আল মাহাদী এওয়ার্ড লাভ করেন।
পরে নীলস ইবি চ্যাপ্টারের সদস্যদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, উন্নত দেশগুলোর মধ্যে আইনী ব্যাবস্থার সম্পর্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে গঠিত সংগঠন দ্যা নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল’ স্টুডেন্টস (নীলস)। নীলসের সকল কার্যক্রম ইউনাইটেড কিংডমের কেম্পহাউজ, লন্ডন, থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ এই সংগঠনটি বিশ্বের ৬ টি মহাদেশে মোট ২৮ টি দেশে কাজ শুরু করে।
সংগঠনটির প্রধান কাজ হলো বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোর সাথে আইনী ব্যাবস্থার সম্পর্ক সৃষ্টি করা। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৪৮ টি সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে এর কার্যক্রম চালু রয়েছে।